নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো আইটি সোসাইটি কর্তৃক বর্নিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইটি ফেস্ট-২০২৪।এতে অংশ নিয়েছে দেশের ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। দুই দিন ব্যাপি আয়োজিত “আল-বাইক বিডি প্রেজেন্টস আইটি ফেস্ট -২০২৪” এর স্পন্সর ছিল আলবাইক বিডি রেস্তোরাঁ।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ নবেম্বর) বর্নিল এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ সোলায়মান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) আশফিকুজ্জামান আক্তার, কে হোসেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কামাল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড.মাহমুদুল হাসান, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল বিন আব্দুল আজীজ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ফেস্টের প্রথম দিনে আয়োজনের মধ্যে ছিল আইটি বিষয়ক বিতর্ক, দাবা, টাইপিং মাস্টার সহ মোট চারটি ইভেন্ট। শুক্রবার দ্বিতীয় সমাপনী দিনে ডাটাথন, রোবো সকার এবং ই-স্পোর্টস (চঊঝ) সহ আইসিটি অলিম্পিয়াডের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী আইটি ফেস্টের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘পৃথিবীতে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে সভ্যতার যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে ইন্টারনেট তা এটাকে চরম উর্ধ্বসত্তায় নিয়ে গেছে। যে কারণে পৃথিবী আর কোনো কারণেই এখন স্থির থাকতে চাচ্ছে না। এর পিছনে উদ্ভাবনী শক্তি গুলো কাজে লাগছে। প্রযুক্তির এই আবিষ্কারগুলো আমাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজে বাচ্চারা এসব কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে নিজেদের শাণিত করছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এসপি আশফিকুজ্জামান আক্তার বলেন, ‘ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সুন্দর প্রজেক্ট দাঁড় করিয়েছে। তাদের এই প্রজেক্ট গুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই ফেস্ট থেকে অঙ্গীকার করতে হবে যে আমরা সামনে আরও সুন্দর সুন্দর আবিষ্কার করে আমরা সুন্দর দেশ গড়ব।’
কে. হোসেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রযুক্তি আমাদের জীবন ধারাকে বদলে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। এ প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রদর্শনের এ উৎসবে শরীক হতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত।”